অক্ষয় তৃতীয়ার প্রাক্কালে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মাথায় হাত বাঁকুড়ার সোনামুখীর মৃৎশিল্পীদের

25th April 2020 বাঁকুড়া
অক্ষয় তৃতীয়ার প্রাক্কালে করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে মাথায় হাত বাঁকুড়ার সোনামুখীর মৃৎশিল্পীদের


তৌসিফ আহমেদ ( সোনামুখী ) : আগামীকাল অক্ষয় তৃতীয়া । লকডাউনে বিক্রি নেই মাটির তৈরি সামগ্রীর আর্থিক সংকটের সোনামুখী মৃৎশিল্পীরা । এই মুহূর্তে গোটা বিশ্ব নোবেল করোনাভাইরাসের কবলে পড়ে জর্জরিত । ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য দেশজুড়ে চলছে লকডাউন গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন দেশবাসী । আর এইরকম কঠিন পরিস্থিতিতে আর্থিক সংকটে পড়েছেন সোনামুখীর মৃৎশিল্পীরা । গৃহবন্দী থাকার কারণে সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বের হতে পারছেন না ফলে বিক্রি নেই মাটির তৈরি জিনিসের । সোনামুখীর মৃৎশিল্পীরা মাটি দিয়ে ঘট প্রদীপ মূর্তি সহ বিভিন্ন জিনিস তৈরি করেন এবং তাই বিক্রি করে সারা বছর সংসার চালান । কিন্তু লকডাউনের জন্য মাটির তৈরি সেই সমস্ত জিনিস বাজারে নিয়ে এলেও বিক্রি হচ্ছে না ফলে দারুন আর্থিক সংকটে পড়তে হচ্ছে শিল্পীদের । 

তার ওপর আগামীকাল অক্ষয় তৃতীয়া মৃৎশিল্পীরা মনে করেছিলেন বিক্রি বাটা হবে সেইমতো সোনামুখীর হারি হাটতলায় প্রতিদিনের মত আজও মাটির তৈরি জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসেছেন কিন্তু লকডাউন করোনাভাইরাস সব যেন ওলট পালট করে দিল । 

শ্রীদাম দাস কার্তিক খাঁ নামে মৃৎশিল্পীরা বলেন , এর উপর নির্ভর করে আমাদের সংসার চলে কিন্তু লকডাউনের এর জন্য একেবারেই বেচাকেনা নেই । ফলে সংসার চলছে না সরকার থেকে যে চালডাল দিচ্ছে তাতে আমাদের চলছে না এখন কিভাবে সংসার চলবে তাই ভেবে পাচ্ছিনা ।
 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।